আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে তাদের স্থল অভিযান কার্যত শুরু হয়ে গেছে।
তুরস্কের সেনাবাহিনী স্থল-অভিযানের আগে শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো কুর্দি মিলিশিয়াদের অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে।
গত রাতে আফরিনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে প্রায় ৭০টি কামানের গোলাবর্ষণ করা হয় বলে, কুর্দি মিলিশিয়া ওয়াইপিজি বলছে।
এরদোয়ান অবশ্য বলেননি যে তার বাহিনী সিরিয়ার ভিতরে ঢুকেছে কিনা। তবে তিনি বলেছেন, আফরিনের ১০০ কিলোমিটার দূরের মানবিজ হবে তার পরবর্তী টার্গেট। সেখানে মোতায়েন করা রাশিয়ার সৈন্যদের এলাকা থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে খবর বেরুনোর পর রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা অস্বীকার করেছেন।
রাশিয়া অবশ্য বলেছে, আফরিনের লড়াইয়ে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। সিরিয়া ইতিমধ্যে এরকম অভিযানের ব্যপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, তুর্কি বিমান উড়তে দেখলে তা গুলি করে নামানো হবে।
সিরিয়ার আফরিন অঞ্চলটি ২০১২ সাল থেকে কুর্দি নিয়ন্ত্রণে আছে। গত কয়েক মাস ধরেই তুরস্ক বলছিল তারা এলাকাটিকে ওয়াইপিজি-মুক্ত করবে।
কয়েকদিন আগে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি নতুন সীমান্তরক্ষী বাহিনী গঠনের কথা ঘোষণা করে। এই সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে গত কদিন ধরেই তুরস্ক সীমান্তে ব্যাপক সৈন্য সমাবেশ ঘটাচ্ছিল।
তুরস্ক এই কুর্দি মিলিশিয়াদের সন্ত্রাসী বলে গণ্য করে এবং তুরস্কের ভেতরের কুর্দি গেরিলাদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে বলে মনে করে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান শনিবার আবার বলেছেন, সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীগুলো পিকেকে’র অবিচ্ছেদ্য অংশ – যারা তুরস্কের ভেতরে কয়েক দশক ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চালাচ্ছে।
সুত্র: বিবিসি